সাকিব-ইবাদত নৈপুণ্যে আগে বল করে ভারতকে অল্পতেই থামিয়েছে বাংলাদেশ। এখন ভারতের দেওয়া ১৮৭ রানের সেই লক্ষে ব্যাট করছে লিটন কুমার দাশের দল। তবে শুরুতেই নাজমুল হোসেন শান্তর উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। দীপক চাহারের করা ইনিংসের প্রথম বলেই কোনো রান না করে ফিরে যান শান্ত।
পরে লিটনকে নিয়ে সেই চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা চালান আরেক ওপেনার এনামুল হক বিজয়। খানিক পর আউট হয়ে উল্টো চাপ বাড়িয়ে আউট হন তিনি।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ১০ ওভার শেষে ২ উইকেট খরচায় ৩০ রান। ২৯ বল থেকে ১৪ রান করে ওয়াশিংটন সুন্দরের বলে আউট হয়ে ফিরেছেন বিজয়। অন্য প্রান্তে ২৫ বল থেকে ১১ রান ক্রিজে আছেন লিটন। সাকিব চেষ্টা চালাচ্ছেন জুটি গড়ার।
এর আগে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে লিটনের নেতৃত্বে টস জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় বাংলাদেশ।
এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই বাংলাদেশি স্পিন সামলাতে হিমশিম খেয়েছে ভারতীয় ব্যাটাররা। শেখর ধাওয়ানকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে শুভসূচনা এনে দেন মেহেদী মিরাজ। এরপর ভারতীয় অধিনায়ক ও বিরাট কোহলিকে ফিরিয়ে ভারতীয় ব্যাটিং লাইন আপের ভিত ভেঙে দেন সাকিব আল-হাসান। উইকেটে এসে থিতু হওয়ার চেষ্টা চালান শ্রেয়াস আয়ার ও লোকেশ রাহুল। তবে খুব বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি আয়ারও। ইবাদতের বলে মারতে গিয়ে উইকেটের পেছনে চলে যায় বল। মুশফিকের গ্ল্যাবসে তালুবন্দি হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৩৯ বলে ২৪ রান।
এরপর ওয়াশিংটন সুন্দরকে নিয়ে লড়াই করে যান রাহুল। এরপর থিতু হয়ে ১৯ রানে ফিরে যান সুন্দর। তবে অন্য-প্রান্তে আশার প্রদীপ হয়ে জ্বলছিলেন রাহুল।
তবে সতীর্থদের কাছ থেকে সঙ্গ পাচ্ছিলেন না। এরপর দ্রুতই ফিরেছেন অপর প্রান্তের ব্যাটাররা। ১৫৩ থেকে ১৫৬ এই ৩ রানের মাঝেই ফিরেছেন ভারতীয় তিন ব্যাটার। এরপর দলীয় ১৭৮ রানের মাথায় ৭০ বলে ৭৩ রান করে ইবাদতের তৃতীয় শিকারে পরিণত হন রাহুল।
এরপর শিরাজকে নিজের চতুর্থ শিকারে পরিণত করে ভারতীয়দের ১৮৬ রানে বেধে ফেলে বাংলাদেশ। বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৫ উইকেট শিকার করেছেন সাকিব।